গল্প কিংবা আড্ডা, ঘরে-বাইরে শুটিং—যেখানে যা-ই ঘটুক, তারকারা তাঁদের ভালো লাগার নানা মুহূর্ত, অনুভূতি সবার আগে ভক্তদের সঙ্গে ফেসবুকে ভাগাভাগি করেন। এই ছবিই বলে দেয় তারকাদের মনের কথা, তাঁদের কাজের কথা। তারকাদের ফেসবুকের পাতা থেকে দেখুন তেমন কিছু ছবি...
গল্প কিংবা আড্ডা, ঘরে-বাইরে শুটিং—যেখানে যা-ই ঘটুক, তারকারা তাঁদের ভালো লাগার নানা মুহূর্ত, অনুভূতি সবার আগে ভক্তদের সঙ্গে ফেসবুকে ভাগাভাগি করেন। এই ছবিই বলে দেয় তারকাদের মনের কথা, তাঁদের কাজের কথা। তারকাদের ফেসবুকের পাতা থেকে দেখুন তেমন কিছু ছবি...
বয়স বড়জোর ২৩-২৪। পরিপাটি ঝকঝকে চেহারা। গায়ে বিশ্বখ্যাত কোনো ব্র্যান্ডের শার্ট-জিনস, পায়ে নামী ব্র্যান্ডের কেডস, কাঁধের ব্যাগে ল্যাপটপ-অ্যাপলের ম্যাকবুক। এর সবই নিজের আয়ে কেনা। এই বয়সে যাঁর লেখাপড়া শেষ দিকে থাকার কথা বা চাকরি খোঁজার কথা, তিনি কীভাবে এমন স্বাবলম্বী জীবনযাপন করছেন? এই তরুণ হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সার। এখন তাঁর মতো অনেক তরুণ দেশে বসে ডলারে আয় করেন। অনেকের মাসিক আয় হাজার ডলার বা তার বেশি।
ফ্রিল্যান্সারের বাংলা করা যায় মুক্ত পেশাজীবী। নয়টা-পাঁচটা চাকরির ঘেরাটোপে আবদ্ধ নন তাঁরা। বাসা কিংবা যেকোনো স্থানে বসেই কাজ করতে পারেন। লাগবে নিজের দক্ষতা, বিদ্যুৎ আর গতিশীল ইন্টারনেট-সংযোগ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কর্মী নিলে খরচ বেশি হয়। অনেক সময় চাহিদামতো এত কর্মী পাওয়া যায় না।
তারা তখন বাইরে থেকে (আউটসোর্সিং) নির্দিষ্ট কাজটি করিয়ে নেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়, তেমনি যেকোনো স্থান থেকে কাজটি করে ওই ব্যক্তিও আয় করেন। বেশির ভাগ কাজ মেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে। তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় এগুলো ‘অনলাইন মার্কেটপ্লেস’ (অনলাইন কাজের বাজার)। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে।
সফটওয়্যার তৈরির প্রতিষ্ঠান টেকনোবিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ ইমরাউল কায়ীশ একসময়ের সফল ফ্রিল্যান্সার। তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ সাল থেকে মূলত দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আসা শুরু হয়। তরুণেরাই এ কাজে অগ্রণী। ফ্রিল্যান্সিংকে জনপ্রিয় করতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড’-এর অবদান রয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ জানালেন, দেশে এখন সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাঁদের সব মিলিয়ে বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (ডলার ১০৬ টাকা ধরে)। ২০১৪ সাল থেকে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার তরুণকে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান তানজিবা রহমান বলেন, সাড়ে ছয় লাখের হিসাবটা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ধরে। বাংলাদেশ থেকে ১৫৩টি মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়। সেগুলো হিসাব করলে এই সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর ৫৫ শতাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো কম।
তানজিবা রহমান বলছেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে ভারত। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তানজিবা রহমান বলেন, ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফ্রিল্যান্সারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এসব কার্ডধারী ব্যাংকঋণ সুবিধা পাবেন। ব্যাংকের মাধ্যমে বাইরে থেকে আয়ের অর্থ আনলে ৪ শতাংশ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে।
সফল ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার ঢাকার তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সবার আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা বুঝতে হবে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ভালো হয় প্রথমে কোথাও চাকরি করা কিংবা সফল কোনো ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে থেকে কাজ করা। এসব কাজের উল্লেখ করে মার্কেটপ্লেসে ভালো একটা পোর্টফোলিও তৈরি করে কাজ নিতে হবে। সময়মতো কাজটি করে দিতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে চাকরির বাজার ছোট হলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে বলে জানান তানজিবা রহমান। এখন ডিজিটাল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), গ্রাফিক ডিজাইন ও লোগো তৈরি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া কনটেন্ট রাইটিং (মূলত পণ্য বা সেবার বর্ণনা বা প্রচারণামূলক লেখা), মডার্ন ফটোগ্রাফি, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও হিসাবরক্ষণ বিষয়ের চাহিদা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুভাবে আয় হয়। একটি অ্যাকটিভ আর্নিং। এটি হচ্ছে সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে কাজ করে আয় করা। আরেকটি প্যাসিভ বা পরোক্ষ আয়। এটি হচ্ছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে আয় করা।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তথ্যমতে, বাংলাদেশে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফাইভআর, গুরু ডটকম, টপটাল, পিপলপারআওয়ার ইত্যাদি। মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারিশ্রমিক ও সময় জানাতে হয় (বিড করা)। কাজদাতা পারিশ্রমিক ও পোর্টফোলিও দেখে যোগ্য ব্যক্তিদের কাজ দেন।
এখন অবস্থার উন্নতি হলেও দু-তিন বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে দেশের মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। ‘রাত জাগে, সারা দিন কম্পিউটার নিয়ে থাকে, কী যে করে, এটা তো কোনো চাকরি বা স্থায়ী কিছু নয়, এর কাছে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না’—এমন কথা শুনতে হয়েছে অনেক ফ্রিল্যান্সারকে। তবে এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সামাজিক স্বীকৃতি বাড়লেও পথ এখনো অনেক দূর। বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ মনে করেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এখন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি, কিন্তু ১০ শতাংশ ভালো আয় করেন। আসলে তথ্যপ্রযুক্তির নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হতে হলে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগেও দক্ষ হতে হবে।
ফ্রিল্যান্সার তৌহিদুর মনে করেন, উদ্যোগ, ব্যক্তিগত আয় বাড়লেও ভালো মানের প্রশিক্ষণের সুবিধা নেই।
চট্টগ্রামের আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান এক্সপোনেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, ‘আমাদের আরও এগিয়ে যাওয় উচিত ছিল। দেশের আইসিটি শিল্প খাত থেকে কোনো দিকনির্দেশনা ফ্রিল্যান্সাররা পান না। কোন বিষয়ের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বে কিংবা কিসে দক্ষ হতে হবে—সেই পথনির্দেশনা আমরা পাই না।’
আবুল কাশেম বলেন, ‘ভারতে অনেক বড় বাজার। এমনকি পাকিস্তানেও একজন ফ্রিল্যান্সার বছরে ১ লাখ ডলার আয় করেন। সেখানে আমাদের কারও বার্ষিক ১০ হাজার ডলার আয় হলেই খুশি। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আইসিটি শিল্প খাত থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত ও দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’
ফ্রিল্যান্সারদের কাজকর্মে একটা বিষয় চোখে পড়ে। একা একা শুরু করে যখন সফল হন, তিনি আশপাশের তরুণদের সম্পৃক্ত করেন এই কাজে। তাঁদের আয়ের পথ তৈরি করে দেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গারো তরুণ সুবীর নকরেক সেই বনাঞ্চল থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হয়েছেন। এরপর তিনি আইটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে আশপাশের গারো তরুণদের শিখিয়েছেন। সব জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ৫০ হাজার তরুণকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন।
আবার কওমি মাদ্রাসার ডিগ্রিধারী শেরপুরের মিনহাজ নিজে সফল হয়ে মাদ্রাসার ৭০০ ছাত্রকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন। ক্যানসারে আক্রান্ত বাবাকে বাঁচাতে ত্রিমাত্রিক গ্রাফিকস ও অ্যানিমেশন শিখে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছিলেন ঢাকার শুভ সরকার। এখন তাঁর বাবা সুস্থ আর তিনি সফল ফ্রিল্যান্সার।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোন ও অন্য যন্ত্রের জন্য নতুন ভিডিও প্রগ্রেস বার এনেছে ইউটিউব। এখন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ইউটিউব ভিডিওতে লাল রঙের ভিডিও প্রগ্রেস বার দেখা যায়। নতুন নকশায় প্রগ্রেস বার আরও সরু হতে পারে।
গুগলের নাইন টু ফাইভ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নতুন নকশার ভিডিও প্রগ্রেস বার অ্যান্ড্রয়েডের কিছু ডার্ক থিম ব্যবহারকারীরা দেখতে পারছেন। নতুন প্রগ্রেস বার সাদা বা ধূসর রঙের। তবে ইউটিউবের কতসংখ্যক ভিডিওতে এমন প্রগ্রেস বার দেখা যাচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
ইউজার ইন্টারফেসে ইউটিউব সম্প্রতি অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ভিডিও চালু অবস্থায় নির্দিষ্ট অংশ বড় (জুম) করে দেখার সুযোগ দিতে ‘পিনচ টু জুম’ সুবিধাসহ লাইক, সাবস্ক্রাইব বাটনে পরিবর্তন এনেছে ইউটিউব। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বরে ভিডিও নির্মাতাদের জন্য লাইভ কিউঅ্যান্ডএ (প্রশ্নোত্তর) সুবিধা চালু করে ইউটিউব।
নতুন এ সুবিধা চালুর ফলে লাইভ ভিডিওর সঞ্চালকেরা দর্শকের করা প্রশ্নগুলো আলাদা চ্যাট বক্সে দেখতে পারবেন এবং চ্যাট বক্সে থাকা প্রশ্নগুলো থেকে উত্তর দিতে পারবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আপনার পারসোনাল কম্পিউটার (পিসি) একটু পুরোনো হয়েছে। তার ওপর ভারী ভারী সফটওয়্যার ইনস্টল করা। নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাসও দেওয়া হচ্ছে না। সব মিলিয়ে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা পিসির গতি কমে গেছে। আবার নতুন পিসিরও গতি কমে যেতে পারে। যদি আপনার পিসির গতি কম থাকে, তবে কিছু পরামর্শ অনুসরণ করতে পারেন। এতে পিসির গতি বাড়তে পারে।
১
আপনার পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও অন্য যন্ত্রাংশের চালক সফটওয়্যারের সর্বশেষ হালনাগাদ দেওয়া আছে কি না, দেখুন। না থাকলে এখনই দিন। এ জন্য স্টার্ট বাটন থেকে সেটিংসে গিয়ে উইন্ডোজ আপডেট এবং চেক ফর আপডেটে চাপুন। যদি ‘ইউ আর আপ টু ডেট’ লেখা থাকে, বুঝবেন পিসি হালনাগাদ আছে। আর যদি ‘আপডেটস আর অ্যাভেইলেবল’ লেখা থাকে, আপডেট দিয়ে দিন। তাতে আপনার পিসিরি গতি বাড়তে পারে।
২
একই সময়ে অনেক অ্যাপ, প্রোগ্রাম ও ওয়েব ব্রাউজার খোলা থাকলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। একই সময়ে ব্রাউজারে অনেক ট্যাব খোলা থাকলেও গতি কমে যেতে পারে। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তবে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ, ট্যাবগুলো বন্ধ রাখুন। এতেও যদি গতি না বাড়ে, তবে পিসি রিস্টার্ট দিন এবং কেবল প্রয়োজনীয় অ্যাপ, প্রোগ্রাম ও ব্রাউজার খুলুন, দেখবেন গতি বাড়ছে।
৩
গতি বাড়াতে উইন্ডোজের রেডিবুস্ট ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। রেডিবুস্টের মাধ্যমে আপনি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা এসডি কার্ডকে একটি অতিরিক্ত র্যামের মতো ব্যবহার করে পিসি না খুলেই গতি বাড়াতে পারেন। রেডিবুস্ট ব্যবহারের জন্য আপনার ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা মেমরি কার্ড থাকতে হবে এবং সেটিতে অন্তত ৫০০ মেগাবাইট খালি জায়গা এবং উচ্চ ডেটা ট্রান্সফার রেট থাকবে হবে।
৪
আপনার হার্ডডিস্কের পেজিং ফাইলকে উইন্ডোজ মেমোরির মতো ব্যবহার করে। উইন্ডোজ ১১–তে একটি সেটিংস আছে, যা পেজ ফাইল আকারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালায়। আপনার উইন্ডোজে এই সেটিংস ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নিশ্চিত হোন। এটি পিসির গতি বাড়ায়।
৫
আপনার পিসির ডিস্কে জায়গা কমে গেছে কি না, দেখুন। এমন হলে ডিস্ক খালি করেও পিসির গতি বাড়াতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার যন্ত্রাংশ থেকে অপ্রয়োজনীয় বা অস্থায়ী কিছু ফাইল মুছে ফেলতে পারেন।
৬
উইন্ডোজ ১১ সংস্করণে অ্যানিমেশন ও শ্যাডো ইফেক্টের মতো অনেক ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট আছে। শুনতে দারুণ মনে হলেও এতে অপারেটিং সিস্টেমের অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয়। এর ফলে পিসির গতি কমে যায়। আর পিসির র্যাম যদি কম থাকে, তবে এটি আরও বেশি কার্যকর। তাই উইন্ডোজের উপকরণ ও কর্মক্ষমতার মধ্যে সামঞ্জস্য করুন।
৭
আপনি হয়তো আপনার ফাইলগুলো যেকোনো জায়গা থেকে ব্যবহারের সুবিধা নিতে অনলাইন ক্লাউড স্টোরেজ ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করেন। ফাইলগুলো আপনার পিসি ও ওয়ানড্রাইভের মধ্যে সিনক্রোনাইজিংয়ের মাধ্যমে রাখেন। এতে আপনার পিসির গতি কমে যায়। তাই পিসির গতি বাড়াতে সিঙ্ক করা বন্ধ রাখতে পারেন।
৮
আপনার পিসি খোলার সঙ্গে সঙ্গে কিছু প্রোগ্রাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় এবং ভেতরে–ভেতরে চলতে থাকে। আপনি এই প্রোগ্রামগুলো বন্ধ রাখতে পারেন। এতে পিসি চালু হওয়ার পর এগুলো চলতে শুরু করবে না। এর ফলে পিসির গতি বাড়বে।
৯
ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যারের কারণে আপনার পিসির গতি কমে যেতে পারে। আপনার পিসিতে ভাইরাস বা অন্যান্য ক্ষতিকারক কোনো সফটওয়্যার আছে কি না, স্ক্যান করে সেগুলো মুছে ফেলুন। এতে আপনার পিসির গতি বাড়বে।
১০
সম্প্রতি ইনস্টল করা নতুন কোনো অ্যাপ, ড্রাইভার বা আপডেটের কারণে আপনার পিসিতে হয়তো সমস্যা দেখা দিয়েছে। পিসি রিস্টার্ট দিন। এতে হয়তো আপনার পিসি পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চলতে শুরু করবে এবং গতি বাড়বে।
সূত্র: সাপোর্ট ডট মাইক্রোসফট
সৌজন্যেঃ প্রথম আলো